আমরা সবাই কমবেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করে থাকি সেই সাথে বিদ্যুৎ ব্যবহারের পারমাপক যন্ত্র/ডিভাইস মানে এনার্জি মিটার সম্পর্কে ধারণা রয়েছে। ২০০৭ সালের পূর্বে এনালগ মিটার ব্যবহার হতো পরে আসলো ডিজিটাল মিটার এ গুলো বেসিক মিটার ছিলো শুধু রিডিং দেখা যেত সে অনুযায়ী বিল হতো। বর্তমানে ব্যবহার হচ্ছে প্রিপেমেন্ট মিটার এ ধরনের মিটারের ব্যবহার দিনদিন বেড়ে চলেছে। প্রিপেইড মিটারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে হলে ব্যবহারের পূর্বে টাকা রির্চাজ করে তারপর বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে হয়।
সূচীপত্র
আজকের নিবন্ধে আমরা প্রিপেইড মিটারের রির্চাজ পদ্ধতি,প্রিপেইড মিটার কার্ড রির্চাজ পদ্ধতি, কিভাবে বিদ্যুৎ প্রিপেইড মিটার রিচার্জ করতে হয়,বিপিডিবি প্রিপেইড মিটার রিচার্জ করার নিয়ম,ডিপিডিসি প্রিপেইড মিটার রিচার্জ করার পদ্ধতি,নেসকো প্রিপেইড মিটার রিচার্জ,পল্লী বিদ্যুৎ প্রিপেইড মিটার রিচার্জ করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করবো।
প্রিপেইড মিটার (Prepaid Meter)
প্রিপেইড বৈদ্যুতিক মিটার হলো এক ধরনের বিদ্যুৎ পরিমাপক যন্ত্র/ডিভাইস যেখানে বিদ্যুৎ ব্যবহারের পূর্বে টাকা রিচার্জ করতে হয়। এরপরই বিদ্যুৎ ব্যবহার করা যায়। পূর্বে অর্থ প্রদান করে বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হয় বলেই এধরনের মিটারকে প্রিপেইড বৈদ্যুতিক মিটার বা প্রিপেইড মিটার বলা হয়।
প্রিপেইড মিটারের প্রকারভেদ
- স্মার্ট কার্ড টাইপ প্রিপেইড মিটার ।
- কিপ্যাড টাইপ প্রিপেইড মিটার।
প্রিপেইড মিটারে রিচার্জ করার মাধ্যম
- ভেন্ডিং ষ্টেশন (নির্ধারিত স্থানে অবস্থিত)।
- জি পে (গ্রামীনফোন)।
- বিকাশ।
- রকেট।
- নগদ।
- রবি বিল পে।
- ইজি।
প্রিপেইড মিটারে রির্চাজ পদ্ধতি | Prepaid Meter Recharge Process
প্রিপেইড মিটারে টাকা রিচার্জ বা কোন পারিবর্তনের জন্য সয়ংক্রিয় কোড জেনারেট হয়ে এ কোড মিটারের প্রবেশ কারলে পরিবর্তন/ রিচার্জ সম্পন্ন হয়ে থাকে। বিদ্যুৎ এর মূল্য বুদ্ধির ফলে বর্তমানে রিচার্জকৃত টাকা মিটারের ঢুকানো নিয়ে তৈরি হয়েছে নানাবিধ সমস্যা । মিটারের প্রকারভেদে রিচার্জ পদ্ধতিও ভিন্ন হয়ে থাকে।
স্মার্ট কার্ড টাইপ প্রিপেইড মিটারের ক্ষেত্রে
এই ধরনের মিটারে কিপ্যাড থাকে না টাকা/ব্যালান্স রির্চাজ করতে হলে ভেন্ডিং ষ্টেশন থেকে মিটারের সাথে থাকা কার্ডে টাকা লোড করে নিতে হয় পরবর্তিতে মিটারে পাঞ্চ করলে টাকা রিচার্জ হয়ে যায়। এধরনের মিটারে টাকা রিচার্জ করা সহজ কিন্তু কার্ড হারিয়ে গেলে বা সাথে না থাকলে সে ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি হয়।
কিপ্যাড টাইপ প্রিপেইড মিটারের ক্ষেত্রে
এই ধরনের মিটারের কিপ্যাড থাকে মিটারের নাম্বার ব্যবহার করে ভেন্ডিং ষ্টেশন অথবা যেকোন মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে সহজেই রিচার্জ করে নিতে পারবেন এই ক্ষেত্রে মিটারের কার্ডের তেমন ভূমিকা নেই। জিপিআরএস বা পিএলসি সার্পোটেড মিটারের অনলাইনে টোকেন প্রবেশ করানো যায় কিন্তু অফলাইন মিটারে কিপ্যাড ব্যবহার করে টোকেন ইনপুট করাতে হয়। তবে বিপত্তি বাধে যখন রিচার্জকৃত টোকেন মিটারের প্রবেশ করাতে হয়।
রেগুলার রির্চাজের ক্ষেত্রে (০১)একটি অর্থাৎ ২০ (বিশ) সংখ্যার টোকেন থাকে কিন্তু যখন বিদ্যুৎ মূল্য পরিবর্তন অথবা লোড বৃদ্ধি করা হয় তখন ০-৮ অথবা ০-১২ টি অর্থাৎ ১৬০ টি বা ২৪০ টি সংখ্যার টোকেন চলে আসে তখন একটু এলোমেলো লেগে যায়।
প্রিপেইড মিটারে বেশি সংখ্যার টোকেন আসলে কিভাবে টাকা মিটারে মিটারে রিচার্জ করবেন?
সম্প্রিতি বিদ্যুৎ মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় রিচার্জের ক্ষেত্রে একের অধিক টোকেন চলে আসছে যা ২০২০ সালেও হয়েছিল।
- পূর্বে এক লাইনের টোকেন মিটারে প্রবেশ করতেন এখন আবাসিক গ্রাহকদের ৯-১০ টি লাইন আর অনান্য শ্রেনির গ্রাহকদের ক্ষেত্রে ৪-৫ টি লাইন মিটারে প্রবেশ করাতে হবে।
টোকেন এর নমুনাঃ
- আপনার টোকেন এর বিদ্যমান প্রতিটি লাইনে বিশটি করে সংখ্যা আছে প্রতিটি লাইন মিটারের প্রবেশ করিয়ে এন্টার/ওকে বাটন চাপতে হবে।
- মিটারে টোকেন কোড সমূহ সঠিক প্রবেশ করাতে পারলে সাকসেস লেখা মিটারের প্রর্দশন করবে আর সঠিক না হলে এরর/রিজেক্ট লেখা প্রদর্শিত হবে।
- মনে করেন আপনি সঠিকভাবে টোকেন নাম্বার সমূহ প্রবেশ করাতে পানেননি বা কোন একটি লাইন ভূল করেছেন সেক্ষেত্রে মিটারে সিকুয়েন্স নাম্বার পরিক্ষা করতে হবে মানে কততম টোকেন প্রবেশ হয়েছে সে অনুযায়ি পূনরায় পরবর্তি টোকেন নাম্বার প্রবেশ করাতে হবে।
প্রিপেইড মিটারে সিকোয়েন্স নাম্বার কিভাবে দেখবেন?
বিভিন্ন ব্যান্ডের মিটারে বিভিন্ন কোডের মাধ্যমে সিকোয়েন্স নাম্বার দেখা যায়। ব্যান্ড অনুসারে নিচের ছকে কোড সমূহ দেওয়া হলো
কোড মিটারে প্রবেশ করিয়ে এন্টার/ওকে বাটন চাপলেই টোকেন সিকোয়েন্স নাম্বার দেখাবে ।
আশা করছি বুঝতে পেরেছেন যদি না বুঝে থাকেন কমেন্ট বক্সে লিখুন সমাধান করার চেষ্টা করবো। সকল মিটারের প্রয়োজনীয় কোড এক সাথে পেতে এখানে দেখতে পারেন।
মিটারের ব্যালেন্স দেখা না গেলে কি করা যায়, অনেক ভাবে চেষ্টা করেছি কিন্তু কোনো ভাবেই দেখতে পারলাম না। এখন কি করি।
মিটারটি কোন ব্যান্ডের?